নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
মো. মাহফুজ নামের ওই ব্যক্তি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মারা যান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে মাহফুজের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পার্থ শংকর পাল জানান, মাহফুজের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে দগ্ধ মো. মিশাল মারা যান।
সোমবার রাত ১২টার দিকে ফতুল্লার মাসদাইরের পতেঙ্গা এলাকায় ওই ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় বিস্ফোরণ ঘটে।
এতে দগ্ধ হন পোশাকশ্রমিক মো. মিশাল, তার স্ত্রী মিতা বেগম, শিশুকন্যা আফসানা আক্তার, শিশুপুত্র মিনহাজ, চাচাতো ভাই মো. মাহফুজ ও ফুফাতো ভাই সাব্বির হোসেন।
তাদের মধ্যে মিশালের শরীরের ৯০ শতাংশ, মাহফুজের ৮০ শতাংশ, সাব্বিরের ৪২ শতাংশ, মিনহাজের ৪০ শতাংশ, মিতার ১৪ শতাংশ ও আফসানার ১০ শতাংশ দগ্ধ হয়।
তাদের সবাইকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপ থেকে গ্যাস লিক হয়ে ওই ফ্ল্যাটে জমে ছিল। সেই থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে।
দগ্ধ মিতার মা রাহেলা বেগম বলেন, ‘রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরেন মিশাল। অন্যরা বাড়িতেই ছিলেন। কিছুক্ষণ পরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।’
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার পড়েছিল। বিস্ফোরণে তিনটি কক্ষে আগুন ধরে যায়। ফ্ল্যাটে থাকা আসবাব পুড়ে গেছে। দরজা-জানালা ভেঙে গেছে।
এ ঘটনার আগে ৫ মার্চ রাতে ফেনী পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুরের একটি ভবনের পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হন মা ও দুই মেয়ে।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মা মেহেরুন নেছা লিপি এবং দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মেয়ে হাফসা ইসলাম মারা যান। আরেক মেয়ে মরিয়ম ইসলামকে শনিবার চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত করে পরদিন ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার নুরুন্নবী জানান, ঘরের ভেতর চুলা থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন ধরে যায়।